• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯

ক্যাম্পাস

নানা আয়োজনে কুয়েট দিবস উদযাপিত

জাতির প্রত্যাশা পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়কে কাজ করতে হবে:ইউজিসি চেয়ারম্যান

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

খুলনা প্রতিনিধি:

শুক্রবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর ২০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। ভৈরব-রূপসা বিধৌত এ পাদপীঠে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানের মধ্যে সকাল সোয়া ৯টায় জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এবং সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আবু নঈম শেখ ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া। স্বাগত বক্তৃতা করেন উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ সাহিদুল ইসলাম।

বক্তৃতা শেষে প্রধান অতিথি বেলুন ও শান্তি প্রতিক কবুতর উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন। এরপর সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি শুরু হয়ে ফুলবাড়িগেট ঘুরে ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে অতিথিবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহন করেন। ১০টায় স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে পোস্টার ও প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন, সোয়া ১০টায় অডিটরিয়ামে ‘কুয়েটের অর্জনঃ অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক প্রেজেন্টেশন এবং টেকনিক্যাল প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, “জাতির প্রত্যাশা পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়কে কাজ করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গুনগত মান নিশ্চিত করতে হবে। গুনগত মানের ক্ষেত্রে কোন আপোষ করা চলবে না। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে”।

সভাপতির বক্তৃতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার বলেন, “শিক্ষা ও গবেষণায় আমাদের আরো মনোনিবেশ করতে হবে। সকলের একনিষ্ঠতায় বিশ্ব দরবারে কুয়েট নিশ্চই অতিদ্রুত মর্যাদাকর অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে”।

জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সহকারী পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আবু নঈম শেখ ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান আলী ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।

এছাড়া আলোচনা সভার পূর্বে ডি-নথি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার। দুপুর ১টায় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী পালিত হয়। বিকালে দর্শনার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ল্যাবসমূহ উন্মুক্তকরণ এবং খেলার মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, বাদ আছর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে, ১৯৬৮ সালে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং ১৯৭৪ সালের ০৩ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ নির্দেশনায় একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়ে ১৯৮৬ সালের ০১ জুলাই এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজী (বিআইটি), খুলনায় পরিণত হয় এবং ২০০৩ সালের ০১ সেপ্টেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads